রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশের পর এবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বোলার ও ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে মাশরাফির দল। সফরকারীদের দেয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনিংসের প্রথম ও তৃতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট তুলে নেন। একপর্যায়ে ৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মধ্যেই দলের হয়ে একাই লড়াই করেছেন ম্যালকম ওয়ালার। ১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ করা ১২২ রানের অর্ধেকের বেশি রান আসে ওয়ালারের ব্যাট থেকে। পরে ১৮ ওভারের শেষ বলে এ ‘ডেঞ্জারম্যানকে’ ৬৮ রানে সাজঘরে ফেরান পেস বিস্ময় মুস্তাফিজ। ৩১ বল খেলে তিনি এ রান সংগ্রহ করেন। ওয়ালার আউট হয়ে যাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছে কেবল ৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি, মুস্তাফিজ, আল-আমিন ও অভিষিক্ত জুবায়ের ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়েছিল। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে বিটিভি ও জিটিভি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের দলে দুটি পরিবর্তন এনে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। এ ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ভার্সনে অভিষেক হয়েছে স্পিনার যোবায়ের হোসেনের। এছাড়া দলে জায়গা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। এনামুল সর্বশেষ এ ভার্সনের ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষিক্ত এনামুল ১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩০৭ রান সংগ্রহ করেছেন। এদিকে সৌম্য সরকারের ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাকতালীয়ভাবে ওয়ানডে সিরিজে ফিরে দারুণ খেললেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি ওপেনার ইমরুল কায়েসের। সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে তিনি ৭৬ ও ৭৩ রানের দুটি দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। এরপর আর কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আর খেলার সুযোগ পাননি তিনি।